শাপলা টিভি রিপোর্টঃ
গত ২৩ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের ফোর্ডসবার্গে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নির্মমভাবে নিহত হন আসু আলী খান লিংকন।
নিহত লিংকন নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানার সেবার হাটের উত্তর রাজা রামপুর গ্রামের দলিলুর রহমানের ছেলে। তার বয়স হয়েছিলো ৩৪বছর।
প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা যায়, গতকাল ২৩ নভেম্বর দুপুর ৩টার দিকে একদল সন্ত্রাসী গাড়ীযোগে ফোর্ডসবার্গের আল-বার্টিনা সিসিলু রোডের দোকানে আসে। দোকানে ঢুকা মাত্র লিংকনকে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। চারটির গুলির মধ্যে একটি বুকে এবং বাকী ৩টি পেটের এক সাইডে পড়ে অন্যদিকে বেরিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতেই ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে কালক্ষেপন না করে দ্রুতই গাড়ি নিয়ে ছিটকে পড়ে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী গার্ডেনসিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ পোস্টমর্টেম শেষে নিহতের লাশ লেনেসিয়া সাবেরি চিস্তিতে রাখা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে স্থানীয় ফোর্ডসবার্গে জানাযা শেষে দেশে প্রেরণ করা হবে।

নিহত আলী খান লিংকনের মৃত্যু রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি। তবে অনেকের ধারণা, এটি একটি টার্গেট কিলিং। সন্ত্রাসী গুলির সময় তার পকেটে থাকা মোবাইল কিংবা নগদ টাকা পয়সা কিছুই নেই।
কি কারণে লিংকনকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা না গেলেও সম্প্রতি একটি ঘটনা অনেকের মুখে শুনা যাচ্ছে। গত ৩/৪ দিন পূর্বে এক মেয়ে কাস্টমারের সাথে মোবাইল ফোন মেরামত নিয়ে লিংকনের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মেয়ের সাথে মারামারি হয়; পরবর্তীতে মেয়েটি আরেক ছেলেকে নিয়ে আসার পর উভয়ের সাথে আবারো হাতাহাতি হয়। এসময় পুলিশ এসে লিংকনকে থানায় নিয়ে গেলে ঘন্টা খানেক পর লিংকন ছাড়া পায়। এ সময় মেয়েটি লিংকনকে হুমকি দিয়ে যায় বলে অনেকেই বলাবলি করছেন।
এছাড়া আরো দু’একটি ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকেই বলছেন কিন্তু প্রকৃত রহস্য কি এবং তা আদৌও কি কখনো বের হবে? তা অনিশ্চিত। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রায় সবকটি হত্যাকান্ডের পর কোন মামলা হয় না। নিহতের পক্ষে কেউ মামলা না করার কারণে হত্যার প্রকৃত রহস্য ধামাচাপা পড়ে যায়।