সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৭ থেকে ৮ মাসে মধ্যেই সার্বিক ভাবে সফলতা অর্জন করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামানের তৎপরতায় চলমান লকডাউনে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকার ঘোষিত দুই ধাপে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে মহাসড়কে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন হাইওয়ে থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে লকডাউন অমান্যকারী বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। সরকারের নির্দেশ পালন করতে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে ওসি মনিরুজ্জামান ও হাইওয়ে থানার প্রতিটি পুলিশ সদস্য। পাশাপাশি জনসাধারনকে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে বিভিন্ন ধরনের সচেতন মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ বিভিন্ন সড়কে ৬ টি চেকপোস্ট বসিয়েছেন। প্রয়োজনীয় গাড়ী ছাড়া অন্য যানবাহনকে সড়কে অবস্থান করতে দিচ্ছে না হাইওয়ে পুলিশ। বিনাপ্রয়োজনে যেসব গাড়ী মহাসড়কে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা। গত জুন মাসে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে জরিমানা করে সরকারকে প্রায় ২৬ লক্ষ ৮১ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় করে দিয়েছে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ। জানা যায়, কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় মনিরুজ্জামান ওসি হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। একসময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক একটি আতংকের নাম ছিলো। ঘন্টার পর ঘন্টা এ মহাসড়কে যানজটে বসে থাকতে হতো। আর এখন এ সড়কগুলো যেনো শান্তির সড়কে পরিনত হয়েছে। তবে এসব সফলতা কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান ও তার অধীনাস্থ সকল পুলিশ সদস্যের। এ চৌকস পুলিশ অফিসার মনিরুজ্জামানের এমন কর্মকান্ডে খুশি সাধারন জনগন। মনিরুজ্জামান কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি হিসেবে নাম্বার ওয়ান বলে উপাধি দেন সাধারন মানুষ। ওসি মনিরুজ্জামান যেমন নরম ঠিক তেমনিই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, লকডাউনের আগেও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে আমার হাইওয়ে থানা পুলিশ তৎপর ছিলো এবং সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের লকডাউন বাস্তবায়ন করতে আমরা তৎপর আছি। আমাদের প্রাণপ্রিয় হাইওয়ে পুলিশ সুপার স্যারের দিকনির্দেশনায় আমরা মহাসড়কে কঠোর অবস্থানে আছি। ইতিমধ্যে লকডাউন অমান্যকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। গত জুন মাসে বিভিন্ন যানবাহনকে মামলা দিয়ে প্রায় ২৬ লক্ষ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। কাউকে কোন ধরনের ছাড় দেওয়া হচ্ছেনা। ওসি মনিরুজ্জামান আরও বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। যেকোনো দূর্যোগের সময় পুলিশ বাহিনী জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঝাপিয়ে পড়ে। তাই সকল শ্রেনীর মানুষকে বলবো বিনাপ্রয়োজনে বাসার বাহিরে বের হবেন না। আর কেউ যদি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হন তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুশিয়ারী দেন মনিরুজ্জামান।