স্টাফ রিপোর্টার : কাচঁপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আব্দুর রাজ্জাক নামে এক অপহরনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক কাঁচপুর এলাকায় হানিফ পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে অপহরনকারী মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) কে গ্রেফতার করে ভিকটিম তানিয়া (১২) কে উদ্ধার করেন। জানা যায়, গত ২ রা মার্চ ২০২১ ইং বগুড়া জেলার শাকপালা দক্ষিনপাড়া গ্রামের ধলু প্রামানিকের ছেলে অপহরনকারী আব্দুর রাজ্জাক ৫০ টাকার ষ্ট্যাম্পে নোটারী পাবলিক কার্যালয় বগুড়ার মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা কাবিন ধার্য করে ১ হাজার টাকার স্বর্ণ অলংকার পরিশোধ পূর্বক ভিকটিম শিশু তানিয়া (১২) বগুড়া জেলার রহিম উদ্দিনের মেয়েকে বিয়ে করেন বলে জানান অপহরনকারী আব্দুর রাজ্জাক। বিয়ের পরপরই বগুড়া থেকে হানিফ পরিবহনে করে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে একই পরিবহনের একজন যাত্রীর সন্দেহ হলে সাথে সাথে বিষয়টি ৯৯৯ এ ফোন করে জানান। ৯৯৯ থেকে কাঁচপুর হাইওয়ের ওসিকে জানালে ওসির নেতৃত্বে সার্জেন্ট আরিফুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাঁচপুর ব্রিজের সামনে হানিফ পরিবহন থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে তানিয়াকে উদ্ধার ও অপহরনকারী রাজ্জাককে গ্রেফতার করেন। শিশু তানিয়ার পরিবারকে জানানো হলে তারা অপহরনকারী আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বগুড়া শাহজাহানপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং০২। তাং০৩.০৩.২০২১
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, বুধবার আনুমানিক রাত ৩ টার সময় ৯৯৯ থেকে ফোন আসে হানিফ পরিবহনে করে এক শিশুকে অপহরন করে চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছে। সাথে সাথে আমার অফিসার নিয়ে কাঁচপুর ব্রিজের সামনে হানিফ পরিবহনকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালিয়ে শিশু তানিয়াকে উদ্ধার করা হয়। সে সাথে অপহরনকারী আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যে গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বগুড়া শাহজাহানপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামী ও ভিকটিম শিশু তানিয়াকে বগুড়া শাহজাহানপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তার করা হয়েছে।
এদিকে অপহরনকারীকে গ্রেফতার করায় হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সোনারগাঁওবাসী।