তাদেরই একজন বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র খান মোহাম্মদ শরীফ।
তিনি বলছিলেন, অনেকদিন ধরেই আমরা জনমত তৈরির চেষ্টা করছিলাম। এর আগে পাঁচবার আন্দোলন করে রাস্তায় নেমেছি। এখন সারা বাংলাদেশে দাবি আদায়ে কমিটি হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন সফল না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলনে থাকবো।”
বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ বিভিন্ন ধরনের কোটা চালু আছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, সে সমস্ত কোটাকে কমিয়ে আনার দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তারা শাহবাগে মিছিল ও সমাবেশ করছেন।
শাহবাগে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরেকজন মৌসুমি মৌ জানান, তারা কোটা-বিরোধী নন। ” আমাদের দাবি কোটা বাতিল নয়, কোটার সংস্কার।”
আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ-এর যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ উজ্জ্বল বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, তাদের মূল দাবি কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার।
তিনি বলছেন, এ নিয়ে সাতবার তারা রাস্তায় নেমেছেন। কারণ বর্তমানে প্রচলিত নানা রকমের কোটার ফাঁদে পড়ে মেধা নিয়েও অনেক শিক্ষার্থী সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ভালো ক্যাডার পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা মেধাবীদের সাথে রাষ্ট্রের বঞ্চনা। তাই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।”
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ এলাকা থেকে জানান, কোনও একটি ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অবস্থান করবেন তারা। সেইসাথে সোমবার তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলেও জানাচ্ছেন।
পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস
তবে রাত আটটার দিকে সেখানে গিয়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ধানমন্ডী জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহেল কাফি বিবিসিকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত, আন্দোলনকারীরা স্থান ত্যাগ করেছে এবং বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে গেছে।
পুলিশ তাদের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে এবং লাঠিচার্জ করে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভে কোনও বিশৃঙ্খলা ছিল কি-না জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা মি: কাফি বলছিলেন, “তারা দুপুর থেকে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল এবং সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস ছিল রোববার। সেকারণে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।”
কোটা সংস্কারের দাবিগুলো কী?