মোঃ রাসেল
বাংলাদেশের আপামর জনসাধারন নিজেদের জানমাল এর সর্বো”চ নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উপরই তাদের সকল আ¯’া। এই পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সংগ্রামী সদস্য নিজেদের সবটুকু দিয়ে তাদের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে সদা তৎপর। এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও কারো না কারো পদাঙ্ক অনুসরন করে এবং তাকেই কর্মক্ষেত্রের আদর্শ মনে করে। তেমনই একজন অনুসরনীয় মানুষ হলেন ডিআইডি ড. হাসান উল হায়দার। ফেনী জেলার সোনাগাজী থানাধীন মতিগঞ্জ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম। ছোটবেলা থেকেই তাঁর হৃদয়ে ন্যায় ও সততার বীজ বপন হয়েছিলো। জনকল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখাই ছিলো তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। সাফল্যে ভরা শিক্ষাজীবন এ ১২ তম বিসিএস (বিশেষ) এ উত্তীর্ন হন তিনি। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এএসপি হিসেবে যোগদান করেন ড. হাসান উল হায়দার। যোগদানের পর থেকেই শুরু হয় তাঁর অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিরামহীন ছুটেচলা। অপরাধীদের জন্য তিনি হয়ে উঠেন ত্রাস। সাধারনের জন্য তিনি যতটা কোমল , সমাজের সকল অন্যায়, অপরাধ সমৃলে উৎপাটন করতে তিনি বদ্ধপরিকর। তিনি শুধুমাত্র নিজেই কাজ করে যাননি, তাঁর অধস্তন কর্মকর্তাদের তিনি সব সময় সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাই তাঁর অধীনে থাকা সকলের জন্য তিনি পথপ্রদর্শক। তিনি এই পর্যন্ত যতগুলো জেলায় কর্মসূত্রে বদলি হয়েছিলেন, সব জায়গাতেই তিনি সুনামের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। এবং অল্পদিনের মধ্যেই সকলের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিতেন। তিনি নির্ভীক ভাবে তাঁর কর্মক্ষেত্রে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ সেন্ট্রাল হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ড. হাসান উল হায়দার অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে টাংগাইল পুলিশ ট্রেনিং সেন্ট্রার (পিটিসি)তে কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি নিজের সফল প্রচেষ্টায় ট্রেনিং সেন্টারটিকে একটি আধুনিক এবং মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপ দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যে পদে দায়িত্বরত রয়েছেন সেই জায়গায় থেকে হয়তো অনেকেই নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকতেন। কিš‘ তিনি তো সকল লোভ লালসাকে পদাঘাত করে শুধুমাত্র মানুষের কল্যানে কাজ করে যা”েছন। শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রেই নয় কর্মক্ষেত্রের বাইরে গিয়েও তিনি গরীব, দুঃখীদের সাধ্যমত সহায়তা সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত। একজন উ”চপদ¯র্’ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নয় নিজেকে একজন সাধারন মানুষের মতো মনে করেই তিনি কাজ করে যা”েছন। তাইতো তিনি আজ জনপ্রিয়তার স্বর্নশিখরে অব¯’ান করছেন। তাঁর মত একজন কৃতি সন্তানকে পেয়ে ফেনীবাসী গর্বিত। শত ব্যস্ততার মাঝেও পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন ড. হাসান উল হায়দার। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যরা বলেন, তাঁর অধীনে কাজ করতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করেন। ডিআইজি স্যার টাংগাইল পুলিশ সেন্টারকে যেভাবে আধুনিক করেছেন তা প্রশংসনীয়। পুলিশ সদস্যরা আরো বলেন, স্যার একজন পরহেজগার মানুষ, সময় মত পাঁচওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। স্যারের মত এত সৎ মানুষ পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমরা স্যারের সু¯’তা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। ড. হাসান উল হায়দার ডিআইজি পদে পদোন্নতি হওয়ায় ফেনী ৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ তাকে অভিনন্দন জানান। ফেনী ৩ আসনের এমপি বলেন, শিক্ষা মানুষকে অনেক দুর পর্য়ন্ত নিয়ে যেতে পারে। ফেনীবাসীর জন্য গর্বের বিষয় আজ ফেনীর কৃতি সন্তান ড. হাসার উল হায়দার পুলিশ বাহিনীর একজন সফল উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। ফেনীর অনেক কৃতি সন্তানরা আজ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে কাজ করে যা”েছ। ফেনী-সোনাগাজীবাসীরা বলেন, ড. হাসান উল হায়দারকে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ডিআইজি হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমরা ফেনীবাসী ড. হাসান উল হায়দারের সফলতা কামনা করি এবং তিনি আরো উ”চপর্দ¯’ানে গিয়ে ফেনীবাসী মুখ উজ্জ্বল করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। ড. হাসান উল হায়দার রাজারবাগ পুলিশ সেন্ট্রাল হাসপাতালে যোগদানের পর ঢাকা-নারায়নগঞ্জ এর কর্মরত সাংবাদিকরা তাকে ফুলের শুভে”ছায় সিক্ত করেন। তিনি যেভাবে নির্ভীকভাবে আদর্শ ও সততার সহিত দায়িত্ব পালন করে যা”েছন, তাকে আদর্শ মনে করে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যদি তাদের প্রতি অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন তাহলে বাংলাদেশ একদিন অপরাধ শূন্য দেশে পরিনত হবে।