স্টাফ রিপোর্টার : ফতুল্লায় পাষন্ড দম্পতি আতাউল্লাহ ও উর্মির নির্যাতনের শিকার হয়েছে শিশু গৃহপরিচারিকা মাহি (৮) পিতৃ-মাতৃহীন অনাথ। এ ঘটনা এলাকাবাসী তাদের আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। শুক্রবার (২০ জুলাই) রাত ১২টায় ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। আত্মীয় স্বজন না পেয়ে অবশেষে প্রতিবেশী জাকির হোসেন বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে পাষন্ড আতাউল্লাহ খোকন ও উর্মি দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আতাউল্লাহ খোকন কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার কাশিপুর গ্রামের মৃত. আঃ হাকিম মিয়ার ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর আনন্দনগর এলাকার শহীদুল্লাহর বাড়ির ভাড়াটিয়া আতাউল্লাহ খোকন ও উর্মি আক্তারের বাসায় ৩ মাস ধরে পিতৃ-মাতৃহীন শিশু মাহিকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে নেয়। এরপর থেকে শিশুটি বাসায় প্রায় সময় কান্নাকাটি করত।
শুক্রবার রাতে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে ওই দম্পতির বাসায় গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয় জাকির শনি। পরে পুলিশ গিয়ে শিশুটির হাতে ও মুখে বর্বর নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পায়।
তখন শিশুটিকে জিজ্ঞাস করলে সে জানায়, তাকে কারনে অকারনে কাজে ভূল ধরে খুন্তি গরম করে হাতে ও শরীরে ছ্যাকা দিতো। কথায় কথায় মারধর করতো। ২০/২৫দিন আগে তার হাতে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাকা দেয়ায় তার ডান হাতের চামড়া উঠে যায়। শুক্রবারও সেই ক্ষত হাতে ছ্যাকা দেয়া হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শিশুটিকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিশুটি অনাথ।
তার কোন আত্মীয় স্বজন না পাওয়ায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ওই বাড়ির প্রতিবেশী জাকির শনি বাদী হয়ে নির্যাতনের নানা বিষয় উল্লেখ করে মামলা করেছেন। শিশুটি পুলিশের হেফাজতে আছে। আসামীদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।