সম্রাট আকবর, নারায়ণগঞ্জ : সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি ডিএনডি প্রজেক্ট ক্যাম্পের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম একটি প্রকল্প। পরিকল্পনা মাফিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে উক্ত এলাকাগুলোর নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সৌন্দর্য বৃদ্ধির স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সেই স্বপ্ন পূরনের পথে অত্যন্ত ধীরগতিতে এগোচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। মোট বরাদ্দকৃত অর্থ সম্পূর্নভাবে না পাওয়ায় কাজের ধারায় এমন স্থবিরতা বলে জানা যায়। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে উক্ত প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন মাস এবং ব্যয় ১২৯৯৯১. ১৭ লক্ষ টাকায় বৃদ্ধি করে একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৫০৬১.৬০ লক্ষ টাকা ব্যয় নির্ধারন করে কর্মপরিকল্পনা করা হলেও বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬০০০.০০ লক্ষ টাকা। বরাদ্দকৃত টাকা চার কিস্তিতে প্রদান করা হয়। হিসাব অনুযায়ী প্রকল্পটির কাজ চলতি বছরে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এখনো ২৯০৬১.৬০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় অর্থ নির্ধারিত সময়ে না পাওয়ায় প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫০.৬৫% কিন্তু এর বিপরীতে আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৪১.৫৫%। শুধু তাই নয় চলমান কাজের ৯.১০% বিল এখনো অপরিশোধিত রয়েছে যার মূল্য প্রায় ১১৮২৯.১৯ লক্ষ টাকা। যার ফলে প্রকল্পে নিয়োজিত ঠিকাদারগণের অধিকাংশ চলমান কাজ স্থবির হওয়ার পথে। এমতাবস্থায় প্রয়োজনীয় অর্থ সংকটে ব্যাপকভাবে ভুগছে প্রকল্পটি। ফলশ্রুতিতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে অত্র এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি চলমান কাজ বন্ধ হয়ে গেলে পূনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসবে প্রকল্পটি। ফলে কাজের সকল অগ্রগতি এক প্রকার বিফলে যাবে এবং পূনরায় কাজ শুরু করলে বরাদ্দকৃত অর্থেও নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার দূর্ভোগ নিরসনে সরকারের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা ডিএনডি প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে এলাকাবাসী এর সুফল ভোগ করতে পারবে। অন্যথায় আসন্ন বর্ষা মৌসুমেও তারা ভয়াবহ সংকটে নিমজ্জিত হবে। তবে বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চলমান কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে জরুরী ভিত্তিতে কমপক্ষে ১২৫০০.০০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। প্রকল্প পরিচালনায় চলমান অর্থ সংকটের সুষ্ঠু সমাধান হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হবে প্রকল্পের কাজ এবং ভোগান্তি নিরসনের স্বপ্ন পূরন হবে এলাকাবাসীর।