ডেস্ক রিপোর্ট:
চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে কঠোর হচ্ছে স্বাস্থ্য প্রশাসন।
এরইমধ্যে হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর অনিয়ম খুঁজে বের করতে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ শুরু করেছেন চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা। করোনা পরিস্থিতির পর থেকে চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়।
রুগ্ন প্রায় এই খাতে তদারকি বাড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গত কয়েকমাসে গঠিত হয় একাধিক কমিটি। এইসব কমিটির তদারকির মধ্যে এবার স্বাস্থ্য বিভাগও হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে মনিটরিং শুরু করেছে।
গত বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কার্যক্রম পরিদর্শনে যান বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এবং জেলা সিভিল সার্জন। এ সময় দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং এক হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম চোখে পড়লে মৌখিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়।
পরিদর্শনের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, করোনা পরিস্থির কারনে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ পরিদর্শনে কিছুটা ভাটা পরে গিয়েছিল। নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৩ টি বেসরকারী স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে গেলাম। স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই পরিদর্শন কার্যক্রম আগামীতেও চলমান থাকবে। স্বাস্থ্য সেবার ব্রত হিসেবে সকলকে গ্রহণ করতে হবে। এই সেক্টরে কোন প্রকার অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। যে কোন সময় যে কোণ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আকষ্মিক পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
নগরের পাঁচলাইশ এলাকার ‘ঈগলস্ আই ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এ রেডিওলজি বিভাগে সনদধারী টেকনোলজিস্ট না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির এক্স-রে সেবা কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
নিউজ৭১ /জে.এম