সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে এবং যাত্রীদের একটি সুন্দর মহাসড়ক উপহার দিতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে কঠোর অবস্থানে রয়েছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। ইতিমধ্যে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মনিরুজ্জামানের সফল কর্মকান্ড বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় উঠে এসেছে। নিজের অভিজ্ঞতা এবং মেধা খাটিয়ে খুব অল্প সময়ে ওসি মনিরুজ্জামান মহাসড়ক যানজট মুক্ত করতে পেরেছেন বলে জানান যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এত দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হবে কখনো ভাবতে পারিনি। আগে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা এ সড়কগুলোতে যানজট লেগেই থাকতো, ওসি মনিরুজ্জামান কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় যোগদান করার পর থেকেই মহাসড়কের চিত্র ভিন্ন। তারা আরও বলেন, মহাসড়কে যানজট এখন অনেক হারে কম। যানজট কম হওয়াতে যাত্রী সহ সকলের ভোগান্তি অনেক কমেছে এবং অতিরিক্ত পরিমানের গ্যাস ও তৈল অপচয় হতো তার হাত থেকেও বেঁচেছে। এমন একজন সু-দক্ষ পুলিশ অফিসার মনিরুজ্জামানকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
এদিকে মফিজ নামের এক যাত্রী বলেন, বিগত দিনে মহাসড়কে উঠলে ভোগান্তির শেষ ছিলো না। আমি চট্টগ্রামের বাসিন্দা। ঢাকাতে চাকুরী করি। প্রতি সপ্তাহে চট্টগ্রামের পরিবারের কাছে যাই। চট্টগ্রাম যেতে মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকতো, ভোগান্তিতে পড়তে হতো। কিছুদিন যাবৎ মহাসড়কে দেখি তেমন একটা যানজট নেই। পরে গাড়ীর ড্রাইভারদের কাছে শুনেছি কাঁচপুর হাইওয়ে থানা একজন সাহসী ওসি এসেছে, উনার নাম নাকি মনিরুজ্জামান। ওসি সাহেব নাকি মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। উনি চ্যালেঞ্জেও সফল হয়েছেন। মহাসড়কের যানজট শুন্যের কোঠায়। ওসিকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
হাসান নামের আরেক যাত্রী বলেন, আমার বাড়ী সিলেটে। আমি ঢাকায় ব্যবসা করি। মাঝে মাঝে গ্রামের বাড়ী সিলেট যেতে হয়। সিলেট যেতে সাইনবোর্ড, গাউছিয়া এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে বসে থাকতে হতো। কি যে এক ভোগান্তি ছিলো যা ভাষায় বুঝাতে পারবো না। কোন যানজট নেই বললে চলে। আসলে এমন সাফল্য কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের। ধন্যবাদ জানাই ওসি মনিরুজ্জামানকে এবং তার সকল পুলিশ সদস্যদের।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রথম, প্রধান এবং একমাত্র উদ্দেশ্য হলো যানজট মুক্ত মহাসড়ক এবং স্বস্তিদায়ক যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমি এবং আমার কাঁচপুর হাইওয়ের প্রতিটি পুলিশ সদস্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই এর সুফল পেতে শুরু করছে যাত্রীরা। ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজটের চির চেনা রুপ। ওসি মনিরুজ্জামান আরও বলেন, আমাদের চলতি কর্মতৎপরতা অব্যাহত রাখা হবে এবং সকলকে যানজট মুক্ত মহাসড়ক উপহার দেওয়া হবে।