আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১২টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৮ হাজার ২৪৬টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৬টি। এছাড়া অধস্তন আদালতে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৮ লাখ ৯২ হাজার ১৩৭টি।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ২৮ জন বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, অধস্তন আদালতে মোট ৪২৭ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আরো ৪১টি ট্রাইব্যুনাল ও ২টি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সৃজন করেছে এবং ওই ট্রাইব্যুনাল সমূহের জন্য ২০৫টি সহায়ক পদও সৃজন করা হয়েছে। নবসৃজিত এ পদগুলোতে বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সরকারি দলের আলী আজমের (ভোলা-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিস্টাররা একইসঙ্গে সরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারেন না। কোন নিকাহ রেজিস্টার তার নিজ অধিক্ষেত্রের বাইরে কোনো সরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে বা অন্য কোনো পদে চাকরি করলে তার লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহিলা এমপি বেগম সানজিদা খানমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দেশের আদালতসমূহে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯টি। এর মধ্যে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৯টি। ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫২৭টি। অন্যান্য (কনটেম্পট পিটিশন/ রীট/ আদিমসহ) মামলার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯১৩টি।