• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
দক্ষিণ আফ্রিকার আপিংটনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রবাসীর মৃত্যু: সিলেট এসোসিয়েশনের শোক বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকেই বাংলাদেশিরা পাবেন মেক্সিকোর ভিসা সাউথ আফ্রিকায় প্রতিদিন গড়ে ৫১টি অপহরণের ঘটনা ঘটছে- পুলিশ রিপোর্ট নতুন নির্বাচন কমিশনার সাবেক সচিব এ.এম.এম নাসির উদ্দিন থানায় মামলা করতে গিয়ে উল্টো নিজেই আটক হলেন সাবেক বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমর কেপটাউনে বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন আফ্রিকার দেশ সোয়াজিল্যান্ডে বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন পথিমধ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত সাউথ আফ্রিকা প্রবাসীর মৃ ত্যু দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে হৃদরোগে প্রবাসী বাংলাদেশীর মৃত্যু সাউথ আফ্রিকায় আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু; কমিউনিটিতে শোকের ছায়া
প্রবাসী খবরঃ
কেপটাউনে বিএনপির উদ্যোগে ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন পথিমধ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত সাউথ আফ্রিকা প্রবাসীর মৃ ত্যু দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে হৃদরোগে প্রবাসী বাংলাদেশীর মৃত্যু সাউথ আফ্রিকায় আগুনে পুড়ে ঘুমন্ত দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু; কমিউনিটিতে শোকের ছায়া অবশেষে মানিক সহ ছবির চার জনের তিনজনই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকা পৌছেছেন নবনিযুক্ত হাইকমিশনার শাহ আহমেদ শফি শীঘ্রই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ই-পাসপোর্ট চালু করতে হাইকমিশনের প্রস্তুতি কেমন? প্রস্তুতি শেষ পর্যায়েঃ বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে আফ্রিকান ইথিওপিয়া এয়ারলাইন্স সাবেক রাষ্ট্রদূত নূরে হেলালের বিচার এবং একজন প্রবাসী বান্ধব হাইকমিশনার পাঠানোর দাবীতে সংবাদ সম্মেলন সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের প্রবীন ব্যবসায়ী শাহ আলম আর নেই

সাবেক এমপি হয়েও ফেনীবাসীর ভালোবাসার আরেক নাম হাজী রহিম উল্যাহ

Reporter Name / ১১০৬ Time View
Update : শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০

ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঁঞা) ও আ,লীগ নেতা হাজী রহিম উল্যাহ, বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এটি প্রথম যিনি প্রবাসে থেকে প্রথম ২০০৬ সালে দলীয় নমিনেশন পায় যা পরবর্তিতে ১/১১ সামরিক শাসন আমলে নির্বাচন বাতিল হয়।
পরে ২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে ফেনী-৩ থেকে নির্বাচিত হয়ে জনগণের আস্থা ও ভালবাসার মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করনে।
একেবারে সাধারণ একটি পরিবার থেকে উঠে আসা দল প্রিয় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পরিবারের ৯ জন সদস্যকে হারিয়েছেন।
১৯৮২-৮৮ সালে তকালীন বিরোধীদের একাধিক মামলা মাথা নিয়ে প্রথমে পাকিস্তান পরে সৌদি আরবে প্রবেশ করে সেখানে ব্যাবসা-ভাণিজ্যর পাশাপাশি রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় মননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজর কাড়েন।
পরিবর্তে পুরষ্কার সরূপ জেদ্দা মহানগর আ,লীগের ২১ বছর সভাপতি,
দলীয় মনোনয়ন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে বিএনপি-জামাতের শাসন আমলে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হয় তাঁর আপন বড় ভাই হাজী আব্দুল রশিদ সরকার ও
২০০৭ সালে আবারো বিএনপি-জামাতের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয় তাঁর ভাতিজা মাহফুজ, মাহফুজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে কপিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জানাযায়, ১৯৯২ সাল থেকে সোনাগাজী-দাগনভূঁঞা সহ ফেনীর এমন কোন নেতাকর্মী নেই যারা বিপদে আপদে,ঈদে ও বিশেষ দিবসে, হাজী রহিম উল্যাহর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পায়নি।
একটা সময় পর্যন্ত সকল দলীয় অনুষ্ঠানের খরচ তিনি একাই বহন করে যেতেন।
অথচ দলের দুর্দিনে নেতাকর্মী আস্থার মানুষটিকে রাখা হয়নি জেলা- উপজেলার কোন সাংগঠনিক কোন দায়িত্বে বার বার রাখার কথা থাকলেও কেন তা বাস্তবায়ন হয়নি সেটাই রহস্য।
২০১৪ সালে ফেনী-৩ আসনের সাংসদ নির্বাচনের কিছুদিন পর থেকে ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর সাথে বিরোধের সৃষ্টি হলেও কোন বিতর্কিত কমর্কান্ডের সাথে জড়িত ছিলেন না প্রতিবাদী হাজী রহিম উল্যাহ।
সংসদ সদস্য হিসাবেও তিনি ছিলেন সফল নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৭০-৮০ ভাগ কাঁচা রাস্তা পাকা করন সংস্কার ও নির্বাচনী এলাকায় শত ভাগ বিদ্যুতায়ন, জোরারগঞ্জ-কোম্পাগঞ্জ সড়কে অবদান, ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ, গ্রামের প্রতিটি সড়কে স্ট্রীট লাইটও মসজিদ মাদ্রাসায় সোলার সংযোজন,
বাড়ীতে বাড়ীতে গভীর নলকূপ স্থাপন, মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরন,সরকার কর্তিক বরাদ্ধের সঠিক ভাবে মানবন্টন,
এছাড়াও নিজের নামে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি।
প্রচন্ড সাহসী হাজী রহিম উল্যাহ রাজনীতিতে যেমন সফল তেমনি ব্যবসায়ী হিসেবেও সফল।
কিন্তু দল করতে গিয়ে হারিয়েছেন যেমন পরিবারের সদস্যদের ব্যয় করেছেন দেশ-বিদেশ শত শত কোটি টাকা। তবে অর্জন করেছেন তৃনমুলের নেতা-কর্মীদের অফুরন্ত ভালবাসা।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তিনি বর্তমান সাংসদ মহাজোট সমর্থিত জাতীয়পার্টির প্রার্থী লেঃ জেঃ (অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে ফেনী-৩ থেকে সমর্থন দেন।
বর্তমানে স্বপরিবারে ঢাকার ধানমন্ডিতে বসবাস করছেন তৃনমূল থেকে উঠে আসা হাজী রহিম উল্যাহ।
ফেনী-৩ নির্বাচনী এলাকায় বার্তমান এখনো জনপ্রিয়তায় শীর্ষে অবস্থান করছেন তিনি। শত করা একশো ভাগের মধ্যে সত্তোর ভাগ মানুষ এখনো হাজী রহিম উল্যাহর পক্ষে।
অনেকে মনে করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ত্যাগীদের মূল্যায়নের যে ঘোষণা করেছেন তা ত্যাগী ও বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে হাজী রহিম উল্যাহকে মূল্যায়ন করবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এমনটাই দাবী জানিয়েছেন ফেনী-০৩ আসনের সর্বস্তরের জনগন।


রিলেটেড খবর
bdit.com.bd