মানব সভ্যতায় বন্যদশা গত হয়েছে কয়েক সহস্রাধিক বছর আগে। তবে এখনো পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা বন-জঙ্গলেই স্থায়ী আবাস গড়েছেন। এমন নৃ-তাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সংখ্যাও কম নয়। তবে এবার লাতিন অঞ্চলের অ্যামাজন জঙ্গলে এমন একজন মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে যিনি ২২ বছর ধরেই একা একা বসবাস করে আসছেন। বলতে পারেন, অ্যামাজনের ওই অঞ্চলের তিনি একক রাজা।
তারা তুলনা চলে অনেকটা মায়া সভ্যতা নিয়ে নির্মিত মার্কিন পরিচালক মেল গিবসনের অ্যাপোক্যালিপটো সিনেমার জীবন-যাত্রার সঙ্গে। যেখানে দাস ব্যবসা, নরবলি দেখানোর পাশাপাশি টিকে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত জঙ্গলে বসবাসরতদের সতর্কতা ও উৎকণ্ঠার বিষয়াদিও উঠে এসেছে।
সেখানে যৌথভাবে শিকার করতে দেখা যায়। শিকারের পর মাংস কেটে ভাগ করে নিতে দেখা যায়। এমনকি তাদের জীবনের হাসি-আনন্দ, সংগ্রামও একটু একটু করে পরিষ্কার হয়ে ওঠে সমাজ ও সাংস্কৃতিক জীবনের নানা অনুষঙ্গের মধ্য দিয়ে।
আর এই মানুষটির জীবন ঠিক সেরকম। অ্যামাজনের জঙ্গলে ২২ বছর ধরে একা বসবাস করছেন। এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অস্ত্র দিয়ে তিনি গাছ কাটার চেষ্টা করছেন। ওই ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৫০ বছর; গাছ কাটতে দেখা যাওয়ায় তার স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অ্যামাজনের জঙ্গল থেকে বহু আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করা হয়েছে এবং হত্যা করার ঘটনাও ঘটেছে। ১৯৯৫ সালে এক সংঘর্ষে ছয়জন নিহতের পর ওই ব্যক্তি একাই এতোদিন টিকে আছেন।
ব্রাজিলের সরকারি সংস্থা ফুনাই, দেশটির আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি রক্ষার কথা বলে আসছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ওই ব্যক্তিকে তারা পর্যবেক্ষণ করলেও তার সঙ্গে ফলপ্রসূ যোগাযোগ এখন পর্যন্ত স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।