শাপলা টিভি ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সাউথ আফ্রিকার দায়ের করা মামলা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু’র বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হয়। এরপর থেকে আমেরিকার সাথে সাউথ আফ্রিকার কুটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়। নানাভাবে চাপ-অনুরোধ করেও সাউথ আফ্রিকাকে দমাতে পারেনি পশ্চিমারা।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সাউথ আফ্রিকা – আমেরিকা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ইতিমধ্যে সাউথ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এরপর এইডস বিষয়ক বাজেট বাতিল করা হয়।
সম্প্রতি সাউথ আফ্রিকার উপর ৩০% ট্যারিফ আরোপ করে আমেরিকা। এর প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে সাউথ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন সব ধরণের নিষেধাজ্ঞা দিলেও সাউথ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিপক্ষে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিসপিন ফিরি বলেন, “সাউথ আফ্রিকার করা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ইসরায়েলের বিপক্ষে মামলা চলবে।”
“আমরা আইসিজে মামলাটি প্রত্যাহার করব না এবং এটি এখন আর দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাও নয়। এই মামলায় আরও ১১টি দেশ যোগ দিয়েছে, বাস্তবে প্রায় ১৩টি, সঠিক বলতে গেলে,” ফিরি বলেন।“
মুলত: এখন ঘোড়াটি সত্যিই দৌড়াচ্ছে। তবে, এটি একটি মৌলিক নীতির বিষয় যার উপর আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আমরা বলছি যে আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করতে হবে এবং একটি দেশ হিসেবে আমাদের নিজস্ব আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করতে হবে।”