শাপলা_টিভি ডেস্ক:
বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রিটোরিয়ায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ‘ই-পাসপোর্ট’ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ (২০ ফেব্রুয়ারী) দুতাবাসের হলরুমে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ মিজানুর রহমান।
সভাপতিত্ব করেন মান্যবর হাইকমিশনার জনাব শাহ আহমেদ শফী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরীফুল ইসলাম।
দুতাবাসের প্রথম সচিব আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন মুফতী খলিলুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মিশনের প্রথম সচিব ড. কাজী মোঃ জাকির হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মকসুদ মাওলা, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক মমিন, মুসলিম সোসাইটির চেয়ারম্যান মাওলানা গিয়াসুদ্দিন মিয়া, কমিউনিটি নেতা জহিরুল আলম তরুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, ই-পাসপোর্ট স্থাপনের জন্য ঢাকা থেকে আগত কারিগরীদলের সদস্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
প্রিটোরিয়াস্থ হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধনের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকার সাতটি দেশ ইসোয়াতিনি, লেসোথো, বতসোয়ানা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক ও নমিবিয়ায় বসবাসরত প্রায় তিন লক্ষ বাংলাদেশির দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হলো। এসব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা এখন থেকে ই-পাসপোর্টের জন্য মিশনে আবেদন করতে পারবেন।
সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন হাইকমিশনার জনাব শাহ আহমেদ শফী। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সমবর্তী দেশসমূহে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছিল। এ ব্যাপারে হাইকমিশনও দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। অবশেষে এ অঞ্চলে বসবাসরত বাংলাদেশি জনসাধারণের ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত দুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে। হাইকমিশনার বলেন, এটা বাংলাদেশিদের জন্য যেমন আনন্দের খবর, আমাদের জন্যও সমান আনন্দের বিষয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা আশা করি, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রিটোরিয়ার অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে যেসব বাংলাদেশি বসবাস করেন এই হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট চালু হবার মাধ্যমে তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ হলো।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা এমন কাজ করবেন না যাতে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। মনে রাখতে হবে, আপনাদের দ্বারাই বহির্বিবিশ্বে দেশের পরিচিতি বৃদ্ধি পায়।
তিনি প্রত্যাশা করেন অচিরেই দক্ষিণ আফ্রিকা হাইকমিশনে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে তিনি সহায়তা করবেন বলে আশ্বাস দেন।
প্রবাসীদের উপস্থিতির একাংশ
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে ১ম আবেদনকারী আরিফ ইসলাম সহ কয়েকজনকে ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ হস্তান্তর করা হয়।
পরিশেষে দোয়া ও আগত অতিথিদের জন্য আপ্যায়নের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি হয়।