নোমান মাহমুদ, শাপলা টিভি:
শান্তিতে নোবেল জয়ী বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। অপার সম্ভাবনার এই দেশে দু্ই দশক ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ক্রমেই অব্যাহত রয়েছে।
প্রখর নেতৃত্বের দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আভ্যন্তরীন কোন্দল দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা দুর্বল করে রেখেছে। ক্ষমতাসীন দল এএনসি’র নেতৃত্ব দুর্বলতায় সরকার ব্যবস্থাও বারবার হোচট খাচ্ছে।
নেলসন ম্যান্ডলার পর দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকি ও জ্যাকব জুমা তাদের মেয়াদ শেষ করার আগেই ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা চালাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা।
কিন্তু সম্প্রতি তার জোটের প্রধান মিত্র ডেমোক্র্যাটিক এলায়েন্সের এক ডেপুটি মিনিস্টারকে ছাটাই নিয়ে স্নায়ু যু’দ্ধ চলছে। প্রতিবাদে আসন্ন জাতীয় সংলাপ বয়কট করেছে দলটি এমনকি প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে সংসদের অভিসংশন এলে তাকে ভোট না দেয়ার হু ম কি দিয়ে রেখেছে ডি.এ।
এদিকে, সম্প্রতি এক পুলিশ কমিশনার কর্তৃক রামাপোসার দলীয় পুলিশ মিনিস্টারের বিপক্ষে গুরুতর কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। যা তার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো লুফে নিয়েছে। এমতাবস্থায় প্রেসিডেন্টের গ্রহণযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে তিনি আগামী ১৩ জুলাই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন।
এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথেও দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছে; দুই প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে বচসা করলেও সম্পর্ক স্থিতিশীলতার লক্ষণ নেই বরং ব্রিকস সম্মেলনে থাকাকালীন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে রপ্তানী পণ্যে ৩০% শুল্কের কথা জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রেসিডেন্ট রামাপোসার উপর তার দলত্যাগী সাবেক কিছু শীর্ষ নেতা যারা এমকে পার্টি এবং মালেমার ফ্রিডম ফাইটার দলে যোগ দিয়েছেন তারা রামাপোসাকে কপোকাত করতে সুযোগ খুঁজছে।
সবমিলিয়ে, রামাপোসার বিপদ ঘনীভুত হচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সুযোগ বুঝে তার প্রতিপক্ষর ঝাপিয়ে পড়তে পারে। তবে তার প্রেসিডেন্সিয়াল ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জোট সরকারের প্রধান মিত্র ডি.এ’র সাথে তার দুরত্ব কমাতে হবে। শ্বেতাঙ্গদের দল ডি.এ-ই তার ক্ষমতা থাকা এবং না থাকার প্রধান ট্রাম কার্ড।