শাপলা টিভি ডেস্ক:
দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েস্টার্ন কেপ হাইকোর্ট রিফুজি আইনের কিছু বিধানকে অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ঘোষণা করেছে, যা অনেক আশ্রয়প্রার্থীকে (এসাইলাম সিকারদের) স্বস্তি দিবে।
গত দুই বছর ধরে রিফুজি আইনে এসব ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে পরিচালিত মামলায় গতকাল হাইকোর্ট এই রায় দেয়।
২০২৩ সালে স্কালিব্রিনি সেন্টার নামে একটি সংস্থা শরণার্থী (রিফুজি) আইনের অধীনে আশ্রয়ের জন্য অভিবাসীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করে।
সংস্থাটি জানায়, বিদেশী নাগরিকদের আশ্রয়ের (এসাইলাম সিকার) আবেদনগুলি যথাযথভাবে বিবেচনা না করেই তাদেরকের দেশে ফেরত পাঠানো অসাংবিধানিক।
ওয়েস্টার্ন কেপ হাইকোর্টের সামনে শরণার্থী আইনের বেশ কয়েকটি ধারা বিতর্কিত ছিল।
রায়ে বলা হয়, হোম এফেয়ার্সের কোন কর্মকর্তা যদি মনে করেন কেউ অবৈধভাবে সাউথ আফ্রিকায় প্রবেশ করেছে তাহলে সে রিফুজি স্ট্যাটাস পাবে না, তাহলে তা হবে অবৈধ।
রায়ের অন্য অংশে বলা হয়েছে, তারা সাউথ আফ্রিকা প্রবেশের পাঁচ দিনের মধ্যে শরণার্থী অভ্যর্থনা অফিসে রিপোর্ট করেছে কিনা এবং যদি না করে থাকে, তাহলে তারা বাধ্যতামূলক কারণ দেখিয়েছে কিনা, যার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি বা প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
৪৮ পৃষ্ঠার এই রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, যে ব্যক্তিরা অবৈধভাবে এখানে প্রবেশ করেছে এই কারণে তাদের আবেদন (এসাইলাম সিকার) গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানো অভিবাসন আইনের নীতির পরিপন্থী।
ফলে যে সব অভিবাসী তাদের নিজ দেশে নিপীড়ন বা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, এমন ব্যক্তিদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে না।
সাংবিধানিক অবৈধতার ঘোষণাটি এখন অসাংবিধানিকতার সম্ভাব্য নিশ্চিতকরণের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠানো হয়েছে।