শাপলা টিভি রিপোর্ট:
জুলাই বিপ্লবের পর শেখ হাসিনা সহ অসংখ্য কেন্দ্রীয় নেতা বিদেশে পালিয়ে গেছেন। বিভিন্ন দেশে নেতারা নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন যদিও গুটি কয়েকজন ছাড়া সবাই নিরব রয়েছেন।
ভারতে বসে শেখ হাসিনা প্রবাসের বিভিন্ন দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং ভার্চুয়াল সভা করে যাচ্ছেন। তার সাথে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল বিভিন্নভাবে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগের (একাংশের) উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভা করেন ড. হাছান মাহমুদ। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসে শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সর্ব আফ্রিকা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
তাদের উদ্যোগে আগামী ১৯ জানুয়ারী প্রিটোরিয়ার কোন এক স্থানে সভা ডাকা হয়েছে, যেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন।
তবে সেই সভাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা বিএনপি’র একাংশ স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দলীয় সভা বাতিলে দাবী করেছে। এই লক্ষ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের পর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে হাইকমিশনার মাধ্যমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির আহবায়ক একেএম আখতারুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার উপর গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা কোনভাবেই সভা করতে পারেন না। আমরা এসব কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগের একাংশের দাবী- দক্ষিণ আফ্রিকায় দলকে সংগঠিত করতে ড. হাছান মাহমুদ সম্প্রতি উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন। সেই প্রক্রিয়া চলমান কিন্তু এরই মধ্যে সর্ব আফ্রিকা আওয়ামী লীগের নেতারা সভানেত্রীকে ভুল বুঝিয়ে ভার্চুয়াল সভা করতে যাচ্ছে যা কোনভাবেই তৃণমূল নেতাকর্মীরা মেনে নিবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগের এক নেতা শাপলা টিভিকে বলেন, ডা. রুপম ও তানসেনের কমিটি আমরা মানি না। তাদের ডাকে নেতাকর্মীরা আসবে না। আমরা যে কোন স্থানে তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম।
আওয়ামী লীগের একাংশ ও বিএনপির প্রতিহতের ঘোষণার ব্যাপারে সর্ব আফ্রিকা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আউয়াল তানসেন বলেন, “আমরা দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে সভা করবো। ড. ইউনুস যেভাবে দেশকে বিনাশ করে দিচ্ছে তার প্রতিবাদে আমাদের সভা। আমাদের সভা বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে নয়, কারণ তারা সরকারে নয়; আমাদের প্রতিবাদ ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে।
আর আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী এখানে গন্ডগোল করার কথা বললেও আদতে তারা দলীয় সভানেত্রীর বিপক্ষে অবস্থান করবে বলে মনে হয় না।”