শাপলা টিভি রিপোর্ট:
দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদুত নুরে হেলাল সাইফুর রহমানের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম, দলীয়প্রীতির বিষয়গুলো তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় শাস্তি প্রদান এবং একজন প্রবাসী বান্ধব রাষ্ট্রদূত প্রেরণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সাউদার্ন আফ্রিকার দেশগুলোর প্রবাসীদের পক্ষ গতকাল (২৪ আগস্ট) জোহানেসবার্গের ফোর্ডসবার্গে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রবীন কমিউনিটি নেতা কেএম আখতারুজ্জামান।
বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক মমিন, ইসলামিক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোশাররফ হোসাইন।
বক্তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সাবেক রাষ্ট্রদুত নুরে হেলাল সাইফুর রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা এবং প্রবাসীবান্ধব আরেকজন হাইকমিশনারকে সাউথ আফ্রিকায় প্রেরণের অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য নিচে তুলে ধরা হলো-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুগণ, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ সাউদার্ন আফ্রিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই-বোনেরা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাবৃন্দ এবং দেশবাসীকে জানাই আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
দক্ষিণ আফ্র্রিকার বিদায়ী দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রদূত জনাব নুরে হেলাল সাইফুর রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার নিশ্চিতকরণ এবং স্বৈরাচার সরকাওে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক নিয্ক্তু রাষ্ট্রদুতকে প্রত্যাহারপূর্বক একজন সৎ ও দক্ষ কূটনীতিককে নিয়োগ প্রদান করে প্রবাসীবান্ধব দূতাবাস নিশ্চিতকরণের দাবীতে আজকের সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই চলমান বন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলায় নিহতদের মাগফিরাত কামনা করছি। বন্যা দুর্গত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে সকল প্রবাসী সহ সরকার এবং দেশবাসীকে আহবান জানাচ্ছি। এছাড়াও সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর শ্রদ্ধা; আহত এবং ত্যাগ স্বীকার করা ছাত্র-জনতাকে জানাই বিপ্লবী অভিনন্দন। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে একটি পটপরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন এক বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে তাদের প্রতি আমরা প্রবাসীরা চিরকৃতজ্ঞ।
সম্মানিত দেশবাসী,
আপনারা জানেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ সাউদার্ন আফ্রিকার ৭টি দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের অভিভাবকতুল্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইকমিশন যা প্রিটোরিয়ায় অবস্থিত। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, বতসোয়ানা, লেসুথো, নামিবিয়া, জাম্বিয়া এই ৭টি দেশে আনুমানিক ৩ থেকে ৪ লক্ষ বাংলাদেশীর বসবাস। এসব প্রবাসীদের জন্য সাউথ আফ্রিকাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করে আসছে। একটি দেশের দুতাবাস প্রবাসীদের সেবার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুতাবাস সেইসব কাজ করতে অনেকটাই ব্যর্থ। এসব দেশের বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে সম্পর্ক ব্যতিরেকে যেমন প্রবাসীদের সেবা নিশ্চিত করা যায় না তেমনি সংশ্লিষ্ট দেশের সাথেও কুটনৈতিক সম্পর্ক পরিপূর্ণ হয় না।
আপনারা জেনে আশ্চর্য হবেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বৈরাচার সরকারের মদদপুষ্ট রাষ্ট্রদুত নুরে হেলাল সাইফুর রহমান প্রবাসীদের সেবার পরিবর্তে নিজের আখের গোছাতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। উপরন্তু দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি নিজের পকেট যেমন ভারী করেছেন তেমনি দুতাবাসকে দলীয় কার্যালয়ে রুপ দিতে ভুল করেন নি। এসব বিষয় নিয়ে আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জনাব তৌহিদ হোসেন সাহেবের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলতে চাই।
মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা,
দক্ষিণ আফ্রিকা সহ সাউদার্ণ আফ্রিকা প্রবাসীদের পক্ষ থেকে আপনাকে আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিবাদন জানাই। আপনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন; এখানকার প্রবাসীরা এখনো আপনাকে সর্বদা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। আপনি জানেন, বিদেশের মাটিতে আমরা কত কষ্ট করি। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি আরও কত ঝুঁকিপূর্ণ আপনার নিশ্চয়ই সবই জানা। বলা চলে, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশের জন্য টাকা কামাই করি, রেমিট্যান্স পাঠাই, দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরণে অবদান রাখি আমরা। বাংলাদেশ থেকে এখানে আমাদের আসার প্রক্রিয়াটিও ততটা সহজ ও স্বাভাবিক নয় আপনি জানেন। এরই মধ্যে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও কাজ করে উপার্জন করতে হয়।
তারপরও আমাদের জন্য একটি স্বস্তির জায়গা অভিভাবকতুল্য প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাইকমিশন। অথচ বিগত চারটা বছর আমরা বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের আচার-ব্যবহারে অতিষ্ঠ ছিলাম। মানুষকে তিনি কুকুর-বিড়ালের মতো গণ্য করতেন। তিনি কতিপয় ব্রোকার শ্রেণির দলীয় লোক নিয়ে চলতেন। এখানে আসার পূর্বে পাকিস্তানে একটানা সাড়ে নয় বছর থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কথা আমরা জানতে পারি। এখানেও বিভিন্ন সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা সংগ্রহের অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রকাশনার নামে, জাতীয় দিবস পালনের নামে ইত্যাদি। এসবের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাঁর দুর্ব্যবহার এবং আর্থিক অসততার কথা জানতে পেরে প্রবাসীদের কেউ কেউ বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিলেও কেউই কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
অথচ আমাদের তথ্য যদি ভুল না হয়ে থাকে- ইসলামাবাদ ও করাচিসহ সাড়ে নয় বছর পাকিস্তান, সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা চার বছর এবং এখান থেকে আবার তাঁকে জর্ডান পাঠানো হচ্ছে। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ বলেও তিনি বিভিন্ন সময়ে আস্ফালন করতেন। হাই কমিশনে চার বছরই ১০/১৫জন দলীয় লোক নিয়ে সরকারের/জনগণের টাকা নষ্ট করেছেন তিনি। যে কারণে কেপটাউন, উইটব্যাংক এবং অফিসে বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রতিবাদের মুখেও পড়েন কিন্তু দেশের মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে কেউ তাকে কিছু বলেনি। তার সময়ে দালালদের হয়রানি, মোবাইল করে টাকা আদায় ইত্যাদি বেড়ে যায়। নালিশ করতে গেলে তিনি লোকজনকে ধমক দিতেন, গালিগালাজ করতেন। তাদের সাথে কথা বলতে চাইতেন না। কখনো বললেও তিনি তুচ্ছ করে কথা বলতেন। মহিলাদের সাথেও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। যে কারণে তার সময়টা দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশীরা ছিলো অভিভাবকহীন।
বিদায়ী হাইকমিশনারের সাথে দালালদের সুসম্পর্ক থাকার কারণে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোতে মূলত তারাই থাকত। আওয়ামী লীগ নামধারী কয়েকজন যারা মূলত পাসপোর্ট ভিসার দালালি করত তাদের সাথেই তার ওঠাবসা ছিল। তাকে জর্ডান না পাঠিয়ে দেশে ফেরত নিয়ে তার আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার বিনীত অনুরোধ করছি।
আপনি জানেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছু সমস্যা থাকলেও এই দেশ বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দেশ। আমাদের কাছে তথ্য আছে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পছন্দের একজনকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যার সাথে বিদায়ী দুর্নীতিবাজ হাই কমিশনারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে আমরা জানতে পারছি। তাঁর মাধ্যমেই বিদায়ী হাই কমিশনারের দুর্নীতি ধামাচাপা দেবার পরিকল্পনা করছেন।
আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করি, আমাদের একজন সৎ ও দক্ষ রাষ্ট্রদূত দেন। আমাদের বিশ্বাস, আপনি সাবেক মন্ত্রীর নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের আদেশ বাতিল করে এমন একজনকে দিবেন যিনি আমাদের সমস্যা দূর করতে পারবেন। গত একবছর যাবত ই-পাসপোর্টের মেশিনারিজ হাইকমিশনে পড়ে থাকলেও তা চালু করেন নি হাইকমিশনার ফলে হাজারো ই-পাসপোর্টধারী প্রবাসী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ জাতীয় আর কোনো রাষ্ট্রদূত আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখতে চাই না।
সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদুত এতটাই দলকানা ছিলেন যে, আওয়ামী লীগের দলীয় অনুষ্ঠানে উনি প্রধান অতিথি ছিলেন। রিটভিø জু ফার্মে আওয়ামীলীগের একটি অনুষ্ঠানের তিনি বিএনপি জামায়াতকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। তিনি হাইকমিশনকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছিলেন যার উদাহরণ একটি ১৫ আগষ্টে জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামীলীগের ব্যানারে দুতাবাসের ভেতরে কেক কাটা হয়। তিনি কথায় কথায় বিএনপি জামায়াত থেকে সাবধান থাকার কথা বলে বাংলাদেশের জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে হাতেগোনা কয়েকজনকে নিয়ে প্রোগ্রাম করতেন। এসব অনুষ্ঠানে যত সামান্য অর্থ খরচ হলেও রাষ্ট্রের বৃহৎ বাজেট কোথায় খরচ হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে আমরা প্রবাসীরা জানতে চাই।
সম্মানিত উপদেষ্টা, সাংবাদিকবৃন্দ ও দেশবাসী,
আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই, সদ্য বিদায়ী হাইকমিশনের সময়ে দুতাবাসের ভেতরে ডাকাতি করে প্রবাসীদের মোবাইল ও নগদ অর্থ নিয়ে যায় ডাকাতদল কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি।
তার সময়ে দুতাবাসে একটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দুই গ্রুপের মারামারিতে চেয়ার টেবিল ভাঙ্চুর সহ রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছিলো।
সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো- হাইকমিশনের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় সাউথ আফ্রিকার বিদ্যুৎ সাপ্লাই কর্তৃপক্ষ দুতাবাসের ইলেকট্রিসিটি লাইন কেটে দেয়। ফলে হাইকমিশনের কার্যক্রম তখন বন্ধ হয়ে যায়। সাংবাদিকদের লেখালেখি ও প্রবাসীদের তোপের মুখে হাইকমিশনার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে লাইন সচল করেন। এসব ঘটনাবলি সাউথ আফ্রিকার মাটিতে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
সম্মানিত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা,
আমরা প্রবাসীরা বিমান বন্দরে ভালো ব্যবহার পাই না, হাই কমিশনে গেলে একজন হাই কমিশনারের কাছে নালিশ করে দুর্ব্যবহারের শিকার হই। তাহলে আমরা কোথায় যাব? আশা করি, এ সমস্ত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় উপদেষ্টা আপনি আপনার পুরাতন কর্মস্থলে নতুন করে এমন একজন হাইকমিশনার দিবেন, যাতে আমরা গর্ব করে বলতে পারি- আপনি এখানে ছিলেন, আপনি আমাদের ভালোবাসেন এবং সে কারণেই বিশেষ বিবেচনায় সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নিয়োগ বাতিল করে একজন ভালো ও দক্ষ হাই কমিশনার দিয়েছেন এবং বিদায়ী দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় এনেছেন। আপনার কাছে বিনীতভাবে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাসীরা সেই অনুরোধটুকু রাখলাম। নাহলে আমরা যে পরিবর্তনের জন্য এতকিছু করলাম তার সুফল আমরা পাব না।
বিশেষ করে, আপনি জানেন, বাংলাদেশে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো দূতাবাস নেই। যেটা খুবই দরকার। আপনি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাছাড়া এখানে প্রায়ই বাঙালিরা হত্যার শিকার হয়। এসব বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি দুর্ভাগ্যক্রমে ক্উে মারা গেলে অন্যান্য দেশের মতো শ্রমিকের আওতায় না পড়ায় আমাদের ভাইদের লাশ দেশে পাঠাতে সরকারি খরচ পাওয়া যায় না। এছাড়াও এখানে আমরা প্রতিনিয়ত দোকানপাটে হামলা ও পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছি।
আমাদের এদেশের সরকারের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক দরকার। প্রবাসী বাংলাদেশিরা আপনাকে আমন্ত্রণ জানাই। আপনার সুনজরে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নত হবে এই বিশ্বাস আমাদের রইল।
আমরা চাই এমন একজন হাইকমিশনার সাউদার্ন আফ্রিকার প্রবাসীদের জন্য পাঠানো হোক, যিনি দুতাবাসকে প্রাণবন্ত করে তুলবেন। যার কাছে দলমত নির্বিশেষে সকল প্রবাসীরা সাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। যিনি প্রকৃতপক্ষে প্রবাসীদের অভিভাবক হয়ে উঠবেন। যিনি কমিউনিটিকে সঠিক গাইডলাইন প্রদান করবেন এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার হবে।
পরিশেষে, অন্তর্বর্তীকালী সরকারের সফলতা কামনা করছি। সাউদার্ন আফ্রিকার সহ বিশ্বের সকল প্রবাসীদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। দেশবাসী সহ প্রবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য শেষ করছি।
আল্লাহ হাফেজ; বাংলাদেশ-দীর্ঘজীবি হোক।