শাপলা টিভি রিপোট:
গত ৪ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ই-পাসপোর্ট চালুর আশ্বাস দেয়া হলেও কাজ চলছে খুবই ধীরগতিতে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর প্রায় এক বছর পূর্বে প্রিটোরিয়াস্থ দুতাবাসে ই-পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট মেশিনারিজের ৪টি বাক্স বাংলাদেশ থেকে আসলেও সেগুলো এখনো খোলা যায় নি; কারণ যে টেকনিক্যাল টিম সেই বাক্সগুলো খুলে প্রতিস্থাপন করবে তারাই ঢাকা থেকে আসতে পারছেন না।
তাদের আসা নিশ্চিত করার জন্য ইতিপূর্বে দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে টেলিফোন এবং চিঠি দেয়া হলেও কার্যকর উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
বর্তমান হাইকমিশনার মহোদয় নতুন বছরের ১ম মাসে ই-পাসপোর্ট চালুর জোর প্রচেষ্টা চালালেও সম্ভাবনা ক্ষীণ। হয়তো বা জানুয়ারীর শেষ দিকে অথবা ফেব্রুয়ারীতে ই-পাসপোর্ট টেকনিক্যাল টিম আসতে পারে। টেকনিক্যাল টিম আসার পর দীর্ঘদিন পড়ে থাকা মেশিনগুলো ঠিকঠাক কাজ করলে দ্রুতই ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করা যাবে কিন্তু কোন সমস্যা বাঁধলে তখন অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
কিন্তু ই-পাসপোর্ট চালুর পর প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং হবে জাতীয় পরিচয়পত্র। কারণ ই-পাসপোর্টের জন্য নতুন আবেদনকারীকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার দিয়ে আবেদন করতে হবে।
অথচ দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসকারী প্রায় ৮০% প্রবাসীর জাতীয় পরিচয় পত্র নেই। এমতাবস্থায় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে হাইকমিশনার শাহ আহমেদ শফী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয় পত্র ইস্যুর সুযোগ ও ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো হাইকমিশনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে যদি প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরির সুযোগ দেয়, তবে তা হবে সাউদার্ণ আফ্রিকা প্রবাসীদের জন্য সোনায় সোহাগা। ফলে তিন লাখ প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট তৈরির পথ প্রশস্ত হবে বলে সকলেই আশাবাদী।