শাপলা টিভি রিপোর্ট:
বিগত কয়েক বছর ধরে ই-পাসপোর্ট রিনিউ এবং নতুন পাসপোর্ট করার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবাসীরা। বিশেষকরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে ই-পাসপোর্ট করে আসা প্রবাসীদের অনেকেই পাসপোর্ট হারিয়ে এখন বিপাকে পড়েছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ হাইকমিশন থেকে ই-পাসপোর্ট তৈরি কিংবা রিনিউ না হওয়ায় হাজারো প্রবাসী অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কাজ বিশেষত: ভিসা/পারমিট করতে পারছেন না। বিগত ৩ বছর ধরে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ই-পাসপোর্ট চালুর আশ্বাস দেয়া হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয় নি।
বিগত প্রায় ৬ মাস পূর্বে প্রিটোরিয়ায় ই-পাসপোর্টের মেশিনারিজ আসলেও স্থান সংকুলানের অভাবে তা সেটাপ করা হয় নি। তবে ইতিমধ্যে ই-পাসপোর্টের জন্য স্থান সংস্কারের বাজেট আসে এবং হাইকমিশনের একটি কক্ষে ঢেউটিন সহ আনুষাঙ্গিক কাজ করা হয়েছে। এখন শুধু বাংলাদেশ থেকে ই-পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল টিমের অপেক্ষায়।
জানা যায়, বাংলাদেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অধীনে বহিরাগমন এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ৮টি দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। সেখানে সাউথ আফ্রিকার নাম রয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক দেশে ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে এবং বর্তমানে সুরক্ষা বিভাগের টেকনিক্যাল টিম সৌদি আরবে বাংলাদেশ দুতাবাসে কাজ করছে। এই টিম সৌদি আরবে ই-পাসপোর্ট চালুর সকল কাজ সম্পন্ন করলে সাউথ আফ্রিকায় আসার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রিটোরিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. কাজী মো: জাকির হোসেন শাপলা টিভিকে জানান, “আমি দায়িত্বভার পাওয়ার পর ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ নুর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সাথে কথা বলে অনুরোধ জানিয়েছি। উনারা দুজনেই সাউথ আফ্রিকায় যথাশীঘ্রই ই-পাসপোর্ট চালুর আশ্বাস দিয়েছেন।”
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সৌদি আরবের পরেই আমাদের এখানে টেকনিক্যাল টিম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যেই অফিসিয়াল এবং টেকনিক্যাল সকল কার্যক্রম শেষ হলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করতে পারবো।”