শাপলা টিভি রিপোর্ট:
দালালদের খামখেয়ালিপনা ও মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে একের পর এক বাংলাদেশী যুবকের প্রা’ণ যাচ্ছে আফ্রিকার পাহাড় জঙ্গলে। নিজের ও পরিবারের ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্নে সাউথ আফ্রিকা আসতে চান অনেক বাংলাদেশী।
কিন্তু পথিমধ্যে তাদেরকে মর’ণ’ফাঁদ অতিক্রম করতে হয়; কেউ বেঁচে ফিরে আবার কেউ মাঝপথে জীবন সংগ্রামের ইতি টানেন।
তেমনি দুই যুবক সাউথ আফ্রিকা আসার পথে জাম্বিয়ায় মা রা গেছেন। তাদের একজনের নাম নাজমুল শিপু (২৫) এবং অপরজন আবেদ মিয়া (২০)। শিপুর দেশের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বোয়ালিয়াবাড়ি। আর আবেদ মিয়ার বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার তালশাহার।
নি হতের আত্মীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বাবু নামে এক দালাদের মাধ্যমে আবেদের পরিবার এবং দিপু নামে অন্য দালালের মাধ্যমে নাজমুল শিপুর পরিবার কন্টাক্ট করে ফ্লাইট যোগে সাউথ আফ্রিকায় পাঠানো কথা হয়। বাবু ও কামরুজ্জামান দিপু নামের দুই দালাল আবেদ ও নাজমুলকে ঢাকার একটি ট্রাভেলসের মালিক পুলকের কাছে নিয়ে আসে। পুলক তাদের আত্মীয়দের নিশ্চয়তা দেয় সরাসরি ভিসা করে সাউথ আফ্রিকা পাঠাবে কিন্তু হঠাৎ গত সপ্তাহে কথা পাল্টিয়ে ইথিওপিয়া পর্যন্ত টিকেট কেটে ফেলে। তখন নাজমুল শিপুর আত্মীয়রা অনীহা প্রকাশ করলে পুলক কোন সমস্যা হবে না বলে নিশ্চয়তা দেয়। দালাল তাদেরকে ইথিওপিয়া এনে সড়ক পথে মালাউয়ি থেকে জাম্বিয়া নিয়ে আসে। পথিমধ্যে তাদেরকে অনাহারে রাখে সেখানকার একটি চক্র।
এই গ্রুপে থাকা অপর এক বাংলাদেশী জানান, তারা জাম্বিয়ার দালালদের সাথে কথা বললেই তাদের মা র ধর করে। সে কোন মতে সাউথ আফ্রিকা আসলেও শিপু ও আবেদকে মে রে ফেলা হয়েছে বলে নবীনগরের সেই দালাল নি হ ত দের পরিবারকে জানিয়েছে।
নি হ তদের পরিবারের অভিযোগ- দালালরা তাদেরকে এখন পাত্তাই দিচ্ছে না; একেক সময় এক কথা বলছে। তাদের পিতামাতা এখন সন্তান হারিয়ে পাগ লপ্রায়।
তাদের সন্তানদের জীবিত অথবা মৃ ত যে কোন অবস্থায় ফিরে পেতে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় তথা দুতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের প্রথম দিকে একই পথে আসার সময় জাম্বিয়াতে মা’রা যায় চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকার যুবক রায়হান আহমদ। ফলে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে সড়কপথে সাউথ আফ্রিকা আসার পথে ৩ যুবকের মৃ ত্যু হলো।